সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বদলাবে কিছু - নাকি ফিরবে সেই পুরোনো গল্পে? জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় গ্রেফতার জামালগঞ্জে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেখেন ১২৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্বম্ভরপুরে দু’টি ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি : ভোগান্তিতে এলাকাবাসী শহরে ১৭ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পরও নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় হতাশ বিএনপি মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা দুর্যোগে রক্ষাকবচ পাগনার হাওরের সাত করচ বাগান সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান ওয়েজখালিতে সহস্রাধিক ভারতীয় শাড়ি জব্দ বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনওকে রংপুরে বদলি শান্তিগঞ্জে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপসহীন ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে থাকার গল্প শোনালেন ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন বাণিজ্য : জিএম কাদের ও চুন্নুর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই পথে যেতে যেতে : পথচারী যাতায়াত বিড়ম্বনায় গুদাম বিমুখ হাওরের কৃষক ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই : জেলা প্রশাসক সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন

ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি
সুনামগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলে এবছর বাম্পার বোরো ধানের উৎপাদন আমাদের কৃষি খাতের সম্ভাবনাকে আবারও প্রমাণ করেছে। প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষকের স্বাবলম্বী হওয়ার আশাব্যঞ্জক বার্তা মিললেও দুঃখজনকভাবে সেই সুফল কৃষকের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না। প্রধান কারণ- সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে হাওরের দুর্গম এলাকার কৃষকদের যাতায়াত বিড়ম্বনা, অতিরিক্ত পরিবহন খরচ ও সীমিত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা। ফলে বাজারে ন্যায্য দাম না পেয়ে এবং গুদামে দিতে উৎসাহ হারিয়ে অনেক কৃষক বাধ্য হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে ধান বিক্রি করতে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী দাবি হলো- ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা। হাওর অঞ্চলের বাস্তবতা হলো- সড়ক ব্যবস্থা দুর্বল, অনেক এলাকা বছরের দীর্ঘ সময় জলমগ্ন থাকে, যা থেকে নৌকা, ট্রলি বা শ্রমিক খরচ বেড়ে যায়। গড়ে প্রতি মণে পরিবহন ব্যয় দাঁড়ায় ২০০ টাকার মতো, যা সরকার নির্ধারিত মূল্য (মণপ্রতি ১,৪৪০ টাকা) থেকে কৃষকের লাভ কমিয়ে দেয়। যদি সরকার ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়েই ধান সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে, তাহলে- কৃষকের ধান ঘর থেকেই সংগ্রহ সম্ভব হবে, পরিবহন খরচ বাঁচবে, সংগ্রহ কার্যক্রম গতিশীল হবে, সরকার নির্ধারিত গুণগতমান বজায় রেখেও সহজে ধান মজুদ করা সম্ভব হবে। বহু কৃষক ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, যদি ঘরের কাছাকাছি ধান দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তারা সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হবেন। এছাড়া বেসরকারি দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যও এভাবে রোধ করা সম্ভব। সরকার যে ‘কৃষিবান্ধব’ নীতির কথা বলে থাকে, তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ চালুর মতো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শুধু মন্ত্রণালয় বা জেলা শহরে বসে সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না - কৃষকের মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই গঠন করতে হবে কার্যকর সংগ্রহ নীতি। আমরা মনে করি, একজন কৃষকের ঘামে ভেজা ধানের প্রতি সম্মান জানাতে হলে, তার ধান কেনার পথকে সহজ করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ধান সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক হাওরের কৃষকের প্রাপ্য ন্যায্যতার প্রথম ধাপ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ